পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

আইসক্রিম স্যান্ডউইচ! জেলি বিন! রিসাইকেল বিন! মিস্টার বিন! ম্যাংগো বার! আর কতো যে আইবো!!
এখন সময় এন্ড্রয়েডের! জাভা মোবাইলের দিন শেষ, তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, “ভালো” মানের এন্ড্রয়েড ফোনের দাম এখনো আকাশ ছোঁয়া। তাই অনেকেই আছেন যারা এখনো এন্ড্রয়েডের স্বাদ নিতে পারেননি। তবে বলে কি আরো ৫ / ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে?? মোটেও না, যদি আপনার পিসি হয়ে থাকে ভালো পারফরমেন্স এর পিসি তাহলে আজই এক্ষুণি মাত্র ২ মিনিটের মাধ্যমে আপনার পিসিতে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে নিতে পারেন এবং বিভিন্ন এন্ড্রয়েড এপস চালাতে পারবেন।


যদিও আমার সেটে বহুত কিছু আছে!!! হেহেহেহে:
android 640x480 wallpaper 889 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
প্রথম পদ্ধতি:

এজন্য আপনার যা যা লাগবে:

- ২ গিগাবাইট র‌্যাম সহ কোর ২ ডুয়ো প্রসেসরের পিসি,
- ভার্চুয়াল বক্স সফটওয়্যার এবং
- এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ভার্চুয়াল ইমেজ।

যাদের কাছে আগেই ওরাকল ভার্চূয়াল বক্স ইন্সটল করা রয়েছে তারা শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড ইমেজটি ডাউনলোড করে নিন, আর যাদের কাছে নেই তাদের দুটোই ডাউনলোড করতে হবে।

ভার্চূয়াল বক্স ডাউনলোড (96 মেগা):
https://www.virtualbox.org/wiki/Downloads
এন্ড্রয়েড ৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (উইথ এক্সট্রা সস!! হাহাহাহা) ইমেজ (৯০ মেগা):

ভার্চূয়াল বক্স প্রোগ্রামটি অন্যান্য প্রোগ্রামের মতোই ইন্সটল করুন। এবার এন্ড্রয়েড ইমেজটি ডাউনলোড করুন।

১। ইমেজটি রার ফরমেটে ডাউনলোড করে, যেকোনো কমপ্রেস সফটওয়্যার যেমন উইনরার দিয়ে ফাইলটি ডিকমপ্রেস করুন।
1 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
২। ফোল্ডারটি ওপেন করুন। এখানে দেখুন নীল রং এর Android-v4.exe আছে। এটায় ক্লিক করুন।
2 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
৩। এরপর অটোমেটিক ভার্চূয়াল বক্স চালু হবে এন্ড্রয়েড ইমেজটি নিয়ে। এখানে সবুজ বাটনের Start বাটনে ক্লিক করুন।
3 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
৪। স্টাট বাটনে ক্লিক করলে ভার্চূয়াল মেশিনটি চালু হবে এবং নিচের মতো পর্দা আসবে।
4 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
এখানে Android Startup from /dev/sda এই অপশনটি নির্বাচন করুন।

৫। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, এন্ড্রয়েড লোডিং স্ক্রিণ আসবে এবং বুটিং হবে।
5 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
৬। এরপর আপনার সামনে এন্ড্রয়েড হোম স্ক্রিণ আসবে লক অবস্থায়।
6 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

৭। এখন সহজ ভাবে লক বাটনটি ড্রাগ করুন, এন্ড্রয়েড ৪ হোমস্ক্রিণ আপনার সামনে!
7 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম


তো হলে গেল! এবার পিসিতেই চালান এন্ড্রয়েডের এপপস!
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
Android on PC thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
Android App Player for PC নামে খ্যাত একটি সফটওয়্যার যার নাম BlueStacks এর সাহায্যে আপনি সহজ উপায়ে এন্ড্রয়েড সফট পিসিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

ধাপসমূহ:

BlueStacks সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
http://www.tomsguide.com/us/download/BlueStacks-App-Player-alpha-,0301-43519.html#
Download BlueStacks thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন।
BlueStacks Installer thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
BlueStacks Installing thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
BlueStacks Installed thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

ইন্সটল করার পর সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। Full Screen জুড়ে সফটওয়্যারটি লোড হবে।
BlueStacks Apps2.jpg thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

এপপস বাটনে ক্লিক করে সফটওয়্যারটির সাথে থাকা ডিফল্ট এপপ গুলো চালাতে পারবেন।
BlueStacks Apps.jpg thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
এছাড়াও আপনার পছন্দের অন্যান্য এপপ ও চালাতে পারবেন তবে অন্যান্য এপপ আপনাকে আলাদা করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। যেমন একটি ড্রাগ রেসিং গেম আমি চালাচ্ছি:
BlueStacks Racing Game thumb পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম


যেহেতু এটি সরাসরি সফট দিয়ে চালানো হচ্ছে তাই আগের মতো অত হাই কোয়ালিটি পিসি লাগবে না, তবে ডুয়াল কোর সাথে ২ গিগা র‌্যাম থাকলেই যথেষ্ট।
তৃতীয় পদ্ধতি:
পিসিতে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে আপনার যা যা লাগবে:
(To get Android running in PC, there are few things that you need)
androidx86 ics পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
এন্ড্রয়েড ৪.০ আইস্ক্রিম স্যান্ডউইচ লোগো
বি.দ্র: ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে হবে না!
(Doesn’t work with 64BIT Operation System!)
১। আপানার পিসি কিংবা ল্যাপটপ – অন্তত ২ গিগাবাইট র‌্যাম সহ মিনিমাম পেন্টিয়াম ৪ ২.৪ গিগাহাটস গতির প্রসেসর এবং অবশ্যই ২৫৬ মেগাবাইট এজেপি। গ্রাফিক্স Card থাকলে আরো ভালো।
(Your PC or Laptop that contain minimum P4 2.4GHz Processor & 2GB Ram with 256MB AGP- Will do better with Graphic Cards)
২। ২০ গিগাবাইট ফ্রি Harddisk স্পেস। (আরো বাড়বে যত এপপস ইন্সটল করবেন)
(20GB Free Harddisk Space – Will Increase after you install many apps)
২। ভার্চূয়ার মেশিন সফটওয়্যার।
(Virtual Box Application)
৩। একটি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ডিক্স ইমেজ।
(Any Android Operating System Disk Image .iso)
৪। ধৈর্য্য। (!!)
(Patients!!)
তবে আসুন শুরু করি!
ধাপসমূহ:
(Steps)
১। প্রথমে নিচের লিংক হতে ভার্চূয়াল বক্স সফটটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন:
(First Download Virtual Box Software, skip it IF you already Have it)
যাদের আগেই ইন্সটল করা রয়েছে তারা এড়িয়ে চলুন।

২। নিচের লিংক হতে আপনার পছন্দের এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি বেছে নিন এবং ডাউনলোড করুন:
(Download Your Favorite Android Versions)
এন্ড্রয়েড ১.৬:
এন্ড্রয়েড ২.২:
এন্ড্রয়েড ২.৩:
এন্ড্রয়েড ৩.২:
এন্ড্রয়েড ৪.০:
এন্ড্রয়েড ৪.২:

৩। ভার্চূয়াল বক্স সফটটি ওপেন করুন, New বাটনে ক্লিক করে নতুন মেশিন তৈরি করুন।
(Assuming that Virtualbox is already installed in your PC, open your Virtualbox and create a new virtual machine.)
1 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
নাম দিন Android-x86, অপারেটিং সিস্টেম দিন লিনাক্স, সংস্করণ দিন লিনাক্স ২ দশমিক ৬। Next> বাটনে ক্লিক করুন
( Give your new VM a name (such as Androidx86) and set the Operating System to “Linux” and the version to “Linux 2.6″.)


৪। বেইস মেমোরি দিন আপনার র‌্যাম এর অর্ধেক। (২ গিগা = ১০২৪ দিন, ৪ গিগা – ২০৪৭ দিন)
(Set the base memory to 1024MB. NOTE: Put 1024MB IF YOU HAVE 2GB RAM )


৫। নতুন হার্ডডিক্স তৈরি করুন ভিডিআই ফাইল টাইপে
(Select “Create New Hard Disk”, followed by “VDI (VirtualBox Disk Image)” as the file type.)
21 পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

৬। এরপরের স্ক্রিণে Dynamically Allocated টিক চিহ্ন দিয়ে সাইজ দিন ৮ গিগাবাইট।
(it is a good idea to set it to “Dynamically Allocated” and set the size to 8.0GB.)

৭। সব কাজ শেষ হলে মেইন মেনুতে সদ্য তৈরিকৃত মেশিনটি নির্বাচন করে সেটিংস বাটনে ক্লিক করুন
(Once you have done creating the VM and is back to the main screen, highlight the new VM and click the Settings button.)
androidx86 settings পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

৮। বাম পাশের মেনু হতে সিস্টেম এ ক্লিক করে সিডি/ডিভিডি রম কে শিউর করবেন এটা চেকেড কিনা এবং এটা বুট অর্ডারে প্রথম রয়েছে কিনা।
(On the left pane, select “System” and make sure that CD/DVD-ROM is checked and is the first in the boot order.)
androidx86 settings cd rom পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

৯। এরপর স্টোরেজ অপশনে যান, এখানে সিডি-রম এন্ট্রি নির্বাচন করুন, এট্রিবিউট অংশে সিডি আইকনে ক্লিক করে আপনি যেই এন্ড্রয়েড ভার্সনটি ডাউনলোড করেছেন সেটি নির্বাচন করুন। এরপর নিচের মতো আসবে:
(Next, go to Storage and select the Cd-rom entry. Under the Attribute section, click the CD icon and select the Android iso that you have previously downloaded. You should see something like this)
androidx86 select android iso পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১০। ওকেতে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন, এবার স্টাট বাটনে ক্লিক করে মেশিনটি ওপেন করুন
(Click OK to save the changes. Once you are back in the main screen, click “Start” to run the installation)

১১। মেশিন চালুর পর এই স্ক্রিণ আসবে।
(This is what you will see on first boot up)
androidx86 boot up পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
ইন্সটল এন্ড্রয়েড টু হার্ডডিক্স এটা নির্বাচন করে এন্টার দিন।
(Select> Installation – Install Android-x86 to Harddisk)

১২। এর পরের স্ক্রিণে এসডিএ লিনাক্স পার্টিশন নির্বাচন করুন:
(Choose the Sda1 Linux partition)
androidx86 linux partition পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৩। পরের স্ক্রিণে ext3 ফাইলসিস্টেমে পার্টিশনটি ফরমেট করুন:
(Select “ext3″ as the filesystem to format to)
androidx86 ext3 filesystem পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৪। পরের স্ক্রিণে বুটলোডার ইন্সটল দিন।
(Install the bootloader.)
androidx86 install bootloader পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৫। পরের মেনুতে নো দিন:
(When it prompts you whether you want to enable read-write for the /system directory, choose No if you just want to test and try out Android . If you are a developer or intend to use this full time, select Yes)
androidx86 system read write পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৬। এবার এন্ড্রয়েড কে ইন্সটল হতে দিন। কিছুক্ষণ সময় লাগবে আপনার পিসির গতির উপর ভিক্তি করে।
(The installer will then proceed to do its job. )

১৭। ইন্সটল শেষ হলে রান এন্ড্রয়েড এক্স৮৬ কমান্ড দিন
(When it is completed, select “Run Android-x86″)
androidx86 run android পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৮। এন্ড্রয়েড ৪.০ এখন বুট নিবে। প্রথম বারে এটি একটি একাউন্ট সেটাপ চাইবে । প্রথমে মেশিন অপশনে গিয়ে ডিসেবল মাউস ইন্টারগ্রেশন অপশনে ক্লিক করুন।
(Android will now boot up. On the first run, it will prompt you to setup your account. If you move your mouse around, you will find that it is not working within the VM. To fix this, go to “Machine” in the menu and select “Disable mouse integration”. Next, click anywhere in the VM, your mouse will magically appear (You can restore the mouse in your host machine by pressing the right Ctrl button on your keyboard)]
androidx86 disable mouse integration পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

১৯। সেটাপ করা হয়ে গেলে আপনি হোমস্ক্রিণ দেখতে পাবেন এবং আপনার এন্ড্রয়েড এখন ব্যবহারের জন্য তৈরি! আপনি চাইলে এন্ড্রয়েড মার্কেট হতে আপনার পছন্দের এপপসটি ইন্সটল করতে পারবেন।
(Proceed to setup your Android account. When you are done, you will see the homescreen and your Android is now ready for use , You can also go to Android market and install your favorite apps)
androidx86 homescreen পিসিতে ব্যবহার করুন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম



বি:দ্র:
১। প্রতিবার ব্যবহারের পর সাট ডাউন মেশিন অপশনটি ব্যবহার করে সফটটি বন্ধ করবেন।
২। প্রতিবার ব্যবহারের আগে নেট কানেক্টশন দিয়ে ব্যবহার করবেন যদি আপনি এন্ড্রয়েডে নেট ব্যবহার করতে চান (মডেমে) আর ব্রন্ডব্যান্ড ইউজারদের নেটওর্য়াক অপশন থেকে WLAN নির্বাচন করতে হতে পারে। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
৩। সর্টকাট:
F1/Win –> Home
F2 –> Menu
F3 –> Search
F4 –> Camera
F5 –> Power
Esc –> Back



আপনি যদি এটাকে ঝামেলা মনে করেন তাহলে আগের সিস্টেমে ব্যবহার করুন সহজে ।

Use Robi, Airtel or another SIM card on GP modem

You want to use Robi, Airtel or another SIM card on your GP internet modem?
GP internet modem by default came with its default profile settings as “GP-INTERNET”. So if you want to use another SIM card on it you have to create new profile (internet settings) for it.
Here I will show you how to use another mobile operator SIM card on GP modem.

At first I am starting with Robi. Let’s see how create a new profile (internet settings)  for  Robi SIM to use on GP modem.


 

You have already seen in the screenshot that i used the following settings for Robi SIM

Internet Settings For Robi:

Profile name: AKTEL, ROBI-INTERNET  or you may use another one
APN: internet
Access Number: *99***1#

If you use other SIM card then see the following internet settings below:

Internet Settings For Airtel:

Profile name: AIRTEL-INTERNET
APN: internet
Access Number: *99***1#

Internet Settings For Banglalink:

Profile name: BANGLALINK-WEB
APN: blweb
Access Number: *99***1#

Use any of these settings that you are applying. And you are done. Now you can use any operator SIM card on your GP modem.
If you face any trouble please comment below. And share with your friends.

ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যেসব প্রশ্ন করা হতে পারে....সেগুলো জেনে নিন

এক একটি পরীক্ষার ভাইভার ধরন এক এক রকম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ভাইভার প্রশ্ন এক রকম আবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ভাইভার ধরন এক রকম। বিসিএস পরীক্ষার ভাইভার ধরন সম্পূর্ন আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আর্মির আইএসএসবির ভাইভা এবং বিসিএস পরীক্ষার ভাইভার সহায়িকা গাইড গুলোতে নমুনা প্রশ্ন দেওয়া আছে। এখানে শুধু কোম্পানী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে (চাকরির ক্ষেত্রে) কেমন প্রশ্ন করা হয় তার কিছু নমুনা প্রশ্ন দেওয়া হল। (প্রশ্ন গুলো নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত কোম্পানীর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারগনের নিকট থেকে এবং আমেরিকার মেরিল্যান্ড ইউনিভারসিটির প্রফেসর উইলিয়াম জি.নিকেলস্ এবং ফরেস্ট পার্কের সেন্ট লুইস কমিউনিটি কলেজের প্রফেসর জেমস এম মেকহিউগ এবং সুসান এম মেকহিউগ এর বই থেকে। এছাড়াও কিছু প্রশ্ন নেয়া হয়েছে আমেরিকার নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভারসিটির জব প্লেসমেন্ট অফিসার ফ্র্যান্ক এস এন্ডিকড এর রিসোর্স পেপার থেকে)। বর্তমানে যারা চাকরি প্রার্থী এবং যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়ছেন তাদের ভাইভা সচেতন এবং নমুনা প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা রাখার জন্য প্রশ্নগুলো ইংরেজিতে দেওয়া হল যাতে প্রার্থীরা নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে পারেন।



1.How would you describe yourself? Introduce yourself?

2. What are your hobbies?

3.How did you choose this company?

4.What are your long-range career goals?

5.What experience have you had in this type of work?

6.Which accomplishments have given you the most satisfaction?

7.Why did you decide to go to this particular discipline/field/subject /profession?

8.How did you spend your vacation while in university?

9.Are you willing to travel (or move)?


10.Why should we hire you?

11.What things are the most important to you in a job?

12.Who is your favorite person?

13.Tell us an interesting story/memorable event of your life?

14. In what type of position are you most interested?

15. Why do you think you might like to work for our Company?

16. What courses did you like best? Least? Why?

17. What do you know about our company?

18. What qualifications do you have that make you feel that you will be successful in your field?

19. What extracurricular offices have you held?

20. What are your ideas on salary? How much money do you hope to earn at age 30? 40?

21. How do you feel about your family?

22. Do you prefer any specific geographic location? Why?

23. What personal characteristics are necessary for success in your chosen Field?

24. What is your father’s occupation?

25. Are you looking for a permanent or temporary job?

26. Do you prefer working with others or by yourself?

27. What kinds of boss do you prefer?

28. Can you take instructions without feeling upset?

29. How did previous employers treat you?

30. Can you get recommendations from previous employers?

31. Do you like routine work?

32. Are you willing to go where the company sends you?

33. What is your greatest strengths and weakness?

34. What jobs have you enjoyed the most? The least? Why?

35. Would you prefer a large or a small company? Why?

36. Are you interested in research?

37. To what extent do you smoke?

If you will take the time necessary to write out brief answers to each of the questions on above mentioned list, it will help you to clarify your own thinking and establish ready answers.

পরবর্তীতে ভাইভার পোশাক ও আদব কায়দা সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করব।
কেমন হয়েছে জানাবেন...

বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।


২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।



৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।


ভালো থাকবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে জানাবেন।বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।

২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।

৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

আজকাল প্রচুর ইমেইল, মন্তব্য পাচ্ছি যেখানে পাঠকগণ জিজ্ঞাসা করছেন কেন এডসেন্সের জন্য আবেদন গুগল গ্রহন করছেন না। আমার মনে হয়, যতগুলো বিজ্ঞাপন দেখানোর ওয়েবসাইট আছে, তার মধ্যে গুগলের আবেদন প্রনালী সবচেয়ে সহজ। তারপরেও গুগল যাতে যেনতেন ওয়েবসাইটে এডসেন্স প্রদর্শিত না হয়, সেজন্য কিছু সহজ নিয়মকানুন মেনে চলে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে আবেদন মঞ্জুর হতে বাধ্য। কেবলমাত্র ব্লগারদের নিজেদের অবহেলার জন্য আবেদন নামঞ্জুর হয়।

আজকে আমি কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করব। অনুগ্রহ করে মনোযোগ সহকারে নিয়মগুলো মেনে চলার পরেই কেবলমাত্র একাউন্টের জন্য আবেদন করবেন। এছাড়া একবার একাউন্ট সক্রিয় হলে অবশ্যই অবশ্যই এই ১৪টি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখবেন। কারণ একবার কোনো ভুলের কারনে একাউন্ট ব্যান হয়ে গেলে পরবর্তীতে একাউন্ট খুলতে প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন
আজকাল গুগল এডসেন্সের একাউন্টের জন্য নিয়মকানুন বেশ কঠিন করে দিয়েছে। প্রথমত যে বিষয়টি চোখে পড়ে তা হল গুগল কোনো সাবডোমেইনের জন্য এডসেন্স একাউন্ট খুলে দেয় না। অর্থাৎ .co.cc এর সাহায্যে যত ডোমেইন ব্যবহার করা হয়, সবগুলোই সাবডোমেইন। তাই এই ধরনের সাবডোমেইন ব্যবহার করে একাউন্ট খোলা সম্ভব নয়। আপনার নিজস্ব কোনো ডোমেইন থাকলে সেটি দিয়ে একাউন্টের জন্য আবেদন করুন, নতুবা আপনি blogspot.com এর ব্লগ ব্যবহার করেও একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর একবার একাউন্ট সক্রিয় হয়ে গেলে সেটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারবেন।

গুগল আবার অনেকসময় whois record চেক করে দেখে যে যিনি একাউন্টের জন্য আবেদন করেছেন, তিনিই কি ডোমেইনের মালিক কিনা। তাই ডোমেইন অন্যের নামে কিনে থাকলে এবং গুগল যদি মালিকানা প্রমাণ করতে বলে তাহলে নিজের নামে ডোমেইন ট্রান্সফার করে ডোমেইনের মালিকানা প্রমাণ করতে পারেন।


ওয়েবসাইটের কনটেন্ট
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে ৮৫% আবেদনই নাকচ হয় এই বিষয়ে অজ্ঞতার কারনে। ওয়েবসাইটে যদি কনটেন্ট না থাকে কিংবা খুবই অল্প থাকে, তাহলে আবেদন নাকচ হতে বাধ্য। আবার কপি-পেষ্ট আর্টিকেলের জন্যেও আবেদন নাকচ হয়।

আমার মতে অন্তত ১৫-২০ আর্টিকেল ১/২ মাসে ধীরে ধীরে পোষ্ট করে অত:পর এডসেন্সের জন্য আবেদন করা উচিত। কখনই হুটহাট করে এক গাদা আর্টিকেল পোস্ট করবেন না। গুগল এই বিষয়ে খুবই কড়া হয়ে গিয়েছে। এই মূর্হুতে ভারত এবং চীনের যেকোনো ব্লগের / ওয়েবসাইটের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস না হলে তার জন্য এডসেন্সের একাউন্ট সক্রিয় করা হয় না।


গুগলে ইনডেক্স হওয়া পেজসংখ্যা
ওয়েবসাইটের কনটেন্টের সাথে ইনডেক্স হওয়ার বিষয়টি সর্ম্পকিত। আবেদন করার পূর্বে পরীক্ষা করে দেখুন আপনার ওয়েবসাইটের কতটি পেজ ইনডেক্স হয়েছে। কতটি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে site:http://www.yoursite.com দিয়ে সার্চ করে দেখুন। যে কয়টি পেজ ফলাফলে দেখতে পাবেন সেই কয়টি পেজই গুগলে ইনডেক্স হয়েছে।

যদি দেখেন একটি পেজও ইনডক্স হয়নি, তাহলে আবেদন করা থেকে বিরত থাকুন। ব্যাকলিংকের উপর জোর দিন, একবার ব্যাকলিংক পাওয়া শুরু হলে, ইনডেক্সও জলদি জলদি হয়ে যাবে। ব্যাকলিঙ্ক বিষয়ে জানতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে Incoming Link এর গুরুত্ব পোষ্টটি পড়ুন।


ওয়েবসাইটের ডিজাইন
যতদূর সম্ভব ওয়েবসাইটের ডিজাইন সাধাসিধা রাখুন, অহেতুক উইজেট বসানো থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে Contact, Disclaimer, Terms & Conditions, সাইটম্যাপ পেজগুলো যুক্ত করুন।


ওয়েবসাইটে ভিজিটর / ট্রাফিক
গুগল নিদির্ষ্ট করে ট্রাফিক সম্বন্ধে কিছু বলেনি, কিন্তু আমার মতে হালকা পাতলা ট্রাফিক থাকলে আবেদনের বিষয়টি সহজ হয়ে যায়।

সাথে থাকুন, ভাল থাকুন।

সবার জন্য রইল শুভ কামনা।